আমার কথা!
হেঁয়ালি.লাইফের পথচলা শুরু হয়েছে খুব বেশি দিন হয়নি, এইতো ২০২০ সালের ডিসেম্বরে,নবজাতই বলা যায়।মাতৃভাষা বাংলা আর বিজ্ঞানের প্রতি যুগ্ম দায়বদ্ধতা থেকে এই ওয়েবসাইটটির জন্ম। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞানের সঠিক স্বরূপ উৎঘাটনের যে অভাব তার খানিকটা দূর করতে পারলে আনন্দিত হব।
বিজ্ঞানকে নিয়ে আমরা অনেকসময় ফ্যান্টাসাইজ করি। বিজ্ঞানে আবেগের কোন স্থান নেই।
বিজ্ঞান তথ্য-যুক্তি দিয়ে কথা বলে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে সম্যক জ্ঞান অর্জনের জন্য
প্রয়োজন হয় নানাবিধ পড়াশোনার। কিন্তু বর্তমান যুগের ইঁদুর দৌড়ে শামিল হয়ে অল্প পড়াশোনার উপর আবেগের প্রলেপ চড়িয়ে আমরা বিজ্ঞানবাদে আক্রান্ত। বিজ্ঞানকে তার সীমার অতিরিক্ত চাপ দেয়াটাও বিজ্ঞানের জন্য এক প্রকার বোঝা।
এই ওয়েবের লেখা সবার জন্য, যারা বিজ্ঞান সম্পর্কে জানতে চাই, বিজ্ঞান কিভাবে কাজ করে জানতে চাই। সব বয়েসের শিক্ষার্থী, মাস্টারমশাই, অভিভাবক, বিজ্ঞান-প্রেমী, পড়ালেখার পাট চুকিয়ে চাকরিতে ঢুকে গেছেন কিন্তু মনে এখনও বিজ্ঞানের প্রতি অনুরাগ লালন করেন, সবার জন্য।
আমার পড়াশোনা হিউম্যান বায়োলজিতে। আরও গুছিয়ে বললে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। এর সাথে ঘুরে দেখি সেল বায়োলজি, জেনেটিক্স, মাইন্ড এন্ড কগনিশন এরকম আরও কিছু বিষয়।
বায়োলজির দর্শন, বিজ্ঞান হিসেবে বায়োলজির বিভিন্ন বিষয়ের কর্মপদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে অনেক আলাপ হয়। অনেক তর্ক-বিতর্ক যুক্তি পেশ হয়। তবে আফসোসের ব্যাপার এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাসাভাসা ধারণা কিংবা একেবারেই না জেনে অনেক কথা বলেন। যার ফলে নিতান্ত আবেগপ্রসূত কথাবার্তা প্রচলিত হয়। আমি ঠিক করেছি এই বিষয়গুলো নিয়ে ধারাবাহিকভাবে কিছু মাল-মশলা তুলে ধরব।
ও আরেকটি কথা………
আমি কোন ইসলামিক লেখক নয়। ইসলাম সম্পর্কে আমার জানাও খুব আহামরি পর্যায়ে না।তবে সত্য উন্মোচনের ধারাবাহিকতায় কিছু আলাপ ইসলামের সাথে মিলে যেতে পারে। সে গুরুভার আমার বৈ অন্য কারো নয়। আমি বিজ্ঞানবাদ ভাংতে আসিনি। অথবা শিরিষ কাগজ দিয়ে বিজ্ঞানের উপর অত্যুৎসাহী বিজ্ঞানবাদীদের প্রলেপ তুলতেও আসিনি।বায়োলজির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে গবেষণা ও আলোচনা, বৈজ্ঞানিক দর্শন ও বিভিন্ন মতবাদ সম্পর্কে আমার অল্প বিস্তর পড়াশোনা সহজ সরল বাংলায় তুলে ধরব এখানে।বিজ্ঞান নিয়ে কাল্পনিক জগতে পুলকিত হওয়া নয়, তুলে ধরব রূঢ় বাস্তব বিষয়। এছাড়াও উঠে আসবে পশ্চিমা বস্তুবাদী বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা।তারপরও আলোচনাগুলো বৈজ্ঞানিক ভিত্তির উপরই হবে। এটাই বোধ করি বিজ্ঞানের সৌন্দর্য।আর আপনারা ত্রূটি বিচ্যুতি মার্জনা করে বাধিত করবেন।